গাছগাছড়ায় রোগমুক্তি
অর্শবলি হতে অধিক রক্তস্রাব ১টা জলপদ্মপাতার অর্ধেকটা বেটে গরম ভাতের সঙ্গে খেতে হবে। রোজ ১ বার করে ৩/৪ দিন। এছানা পূর্বে লিখিত অভয়ারিষ্ট খেতে হবে ১ মাস।
অন্ধবলি, পিঠে বেদনা, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রভৃতি লক্ষণে দু'বেলা আহারের পর অভয়ারিষ্ট খেতে হবে। এছাড়া রাতে শোবার সময় ১ গ্রাম হরীতকী চূর্ণ গরম জলসহ খেতে হবে ৩/৪ দিন।
রক্তস্রাবহীন অর্শ রোগের প্রথমাবস্থায় অতিশয় বেদনা থাকলে অভয়ারিষ্ট খেতে হবে রোজ দু'বেলা খাবার পর। এছাড়া সকালে খালিপেটে ১টি চন্দ্রপ্রভা গুড়িকা বড়ি আধকাপ ত্রিফলার জল ও ১ চামচ মধুসহ খেতে হবে ১৪ দিন।
পুরাতন অর্শরোগে রোগী অত্যন্ত দুর্বল ও শীর্ণ হলে অভয়ারিষ্ট খেতে হবে দু'বেলা খাবার পর। এছাড়া রোজ সকালে খালিপেটে আধকাপ করে কুলেখাড়ার রস খেতে হবে ১ মাস।
অর্শ বহিঃনির্গত, মলদ্বার বিদারিত, বেগ দিয়া মলত্যাগ করতে হয়, মলত্যাগান্তে অগ্নিদগ্ধবৎ জ্বালা ও শীতল জল প্রয়োগে ক্ষণিক উপশম লক্ষণে চন্দ্রপ্রভা গুড়িকা বড়ি সকালে খালিপেটে ১টি এবং সন্ধ্যায় ১টি ত্রিফলার জল ও মধুসহ খেতে হবে ১৪ দিন থেকে ২৮ দিন। এছাড়া হলুদ চূর্ণ এবং ঘোষালতা চূর্ণ সর্ষের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে বলির ওপর লাগাতে
হবে।
পথ্য : পুষ্টিকর অথচ লঘু পথ্য ব্যবস্থা। লঙ্কা, গরম মশলা বা ভাজা-পোড়া বা অধিক তেল, ঘৃত এবং কোনোরূপ উত্তেজক সামগ্রী খাওয়া নিষিদ্ধ। পেঁপে, ওল, আখ, মাখন, পুরাতন চালের ভাত, ডুমুর, কচু প্রভৃতি সুপথ্য। মল মূত্রাদির বেগ ধারণ করা, উবু হয়ে বসা, ঘোড়ায় চড়া, রাত্রি জাগরণ, উপবাস অহিতকর। অধিক বেগ দিয়া বাহ্য করা অনুচিত, ডাবের জল বা শীতল জল পান করা উপকারী। মলদ্বার ও অর্শবলি রোজ শীতল জলে ধৌত করা ভালো। কালমেঘ, পলতা বা অন্য তিক্ত দ্রব্য খেয়ে যকৃৎকে সক্রিয় রাখা এবং কাঁচা বেল পোড়া ও ইসবগুলের ভুসি খেয়ে বাহ্যে সরল রাখা আবশ্যক। * অন্ত্রবৃদ্ধি ও হার্নিয়া *
লক্ষণ ঃ এই রোগে অস্ত্র (পেটের নাড়িভুঁড়ি) কুঁচকিতে নাভিতে বা অণ্ডকোষে প্রবেশ করে। ঐ অস্ত্র যথাস্থানে না সারিয়ে দিতে পারলে, জ্বর, বমি, হেঁচকি, পেট ফোলা প্রভৃতি লক্ষণ প্রকাশ পায়। ক্রমশ অস্ত্র পচে মৃত্যু ঘটতে পারে। ভারী জিনিস তোলা, কোষ্ঠকাঠিন্য, অধিক পরিশ্রম করা, মল মূত্র ত্যাগকালে বেশি বেগ দেওয়া, পেটে বেশি চাপ পড়া বা বার্ধক্যে শরীর শিথিল হওয়া
মন্তব্যসমূহ