লজ্জাবতী
অর্শ রোগে—অর্শ হলে লজ্জাবতীর মূলসহ গাছ ১০ গ্রাম নিয়ে তাতে ১ কাপ দুধ ও ৩ কাপ জল দিয়ে একসঙ্গে সেদ্ধ করুন। ১ কাপ অবশিষ্ট থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে রোজ সকালে ও বিকালে খাবেন, অর্শে উপকার হবে।
২। দুষ্ট ক্ষতে—মূলসমেত লজ্জাবতী গাছ তুলে এনে ৪ কাপ জলে দিয়ে সেদ্ধ করুন। ১ কাপ অবশিষ্ট থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে সেটা আবার আঁচে বসিয়ে নাড়বেন, একটু ঘন হয়ে এলে সেই ঘন ক্বাথ ক্ষতের ওপর সারাদিনে ৩-৪ বার লাগাবেন, পুঁজ কমে যাবে ও ঘা শুকিয়ে যাবে।
৩। পুরাতন আমাশয়ে–লজ্জাবতীর পাতা ও ডাঁটা মিশিয়ে ১০-১২ গ্রাম নিয়ে তাকে ৪ কাপ জলে সেদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে ক্বাথটা ছেঁকে নিয়ে সকালে ও বিকালে সেটা ভাগ করে খান, উপকার পাবেন।
৪। রক্তপিত্তে—রক্তপিত্তে যদি ভোগেন তাহলে লজ্জাবতীর পাতা ও ডাঁটা মিলিয়ে ১০ গ্রাম নিয়ে ৪ কাপ জলে সেদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে সেটা দু’ভাগ করে সকালে ও বিকালে খাবেন।
৫। কানে পুঁজ হলে—প্রথমে লজ্জাবতীর ক্বাথ তৈরি করুন তারপর ক্বাথটা ছেঁকে তার সঙ্গে খানিকটা সরষের তেল দিয়ে পাক করুন। তেল অবশিষ্ট থাকতে নামিয়ে সেটা কানে ফোঁটা ফোঁটা দিন, পুঁজ সেরে যাবে।
৬। নাড়ি সরে গেলে—অনেক সময় অনেক কারণে নারীর নাড়ির সরে যায়। এই অবস্থায় লজ্জাবতীর মূল ১০ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে ৪ কাপ জলে সেদ্ধ করে ১ কাপ অবশিষ্ট থাকতে নামিয়ে হেঁকে রোজ ঐ ক্বাথ দিয়ে ডুশ দিন।
৭। দাঁতের মাড়ির ক্ষতে–লজ্জাবতীর পাতা ১২ গ্রাম পরিমাণে নিয়ে ৪ কাপ জলে সেদ্ধ করে ১ কাপ অবশিষ্ট থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে সেইক্বাথ মুখে নিয়ে ১০ মিনিট করে মুখে রেখে ফেলতে থাকুন। কয়েক দিনের মধ্যেই দাঁতের মাড়ির ক্ষত সেরে যাবে।
৮। গ্রন্থিবাতে—উপরোক্ত নিয়মে ক্বাথ তৈরি করে ছেঁকে নিয়ে সেই ক্বাথের সঙ্গে এককাপ দুধ ও ৭-৮ চামচ ঘি দিয়ে আবার পাক করুন। ক্বাথটা শুকিয়ে গেলে এবং ঘি অবশিষ্ট থাকলে সেই ঘি খাবেন ও মালিশ করবেন।এতে গ্রন্থি রাত সেরে যাবে।
৯। কানে দুর্গন্ধ ও দাগ—এমন অনেক লোক আছেন যাঁদের গেঞ্জিতে দাগ ধরে, বগলে দুর্গন্ধ দেখা দেয় এই অবস্থায় ২০ গ্রাম লজ্জাবতী গাছ নিয়ে ৫ কাপ জলে সেদ্ধ করুন ও ২ কাপ অবশিষ্ট থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিন। এবার সেই ক্বাথের দ্বারা শরীরটা মুছে ফেলুন।
মন্তব্যসমূহ